ইনস্টাগ্রাম এর কথা সবাই জানে কিন্তু এটা থেকে যে কি পরিমাণ উপার্জন করা যায় তা হয়তো অনেকেরই অজানা।  ইউএস, ইউকে, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার মানুষজন তাদের রেগুলার জব থেকে ইন্সটাগ্রাম এর পেছনে ভাল সময় দিচ্ছে। যেখানে তারা নিজের শখের কাজগুলো করছে। তবে ইনস্টাগ্রাম কে হাইলাইট করার কারণ যে যেটাতে পারদর্শী সেটাতে নিজেই সব থেকে বেশি ইনফ্লুয়েন্স তৈরি করতে পারে। আর সেই ইনফ্লুয়েন্স তৈরি করা থেকে একেকজন হয়ে ওঠে সাকসেসফুল ইনফ্লুয়েন্সার। অনেকে এটাকে আবার ”এম্প্লয়মেন্ট প্রোগ্রাম”ও বলছে কারণ এখানে খুব দ্রুত মনিটাইজেশন করা যায় এবং যা থেকে মাসে ১০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ ইউএস ডলার ইনকাম করা সম্ভব। আবার অনেকে এমন ইনফ্লুয়েন্সারদের পেইজ ম্যানেজ করে মাসে ১০০ থেকে ১৫০০ ডলার (একাউন্ট প্রতি) উপার্জন করতে পারে।

আজকে আমরা এমন ই একজনের সাথে কথা বলবো যিনি হচ্ছেন সাজিদ ইসলাম প্রান্ত । তিনি একজন ইনস্টাগ্রাম এক্সপার্ট । গত দুই বছর ধরে আপওয়ার্কে কাজ করে যেখানে উপার্জন করেছেন ৬০,০০০ ডলারের ও বেশী । তার শুরু টা কিভাবে এবং এই ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে কিভাবে আসা- আমরা আজকে তার কাছ থেকে শুনব …

যেভাবে শুরু করেছিলেন?

শেখাটা শুরু হয় যখন নিজের স্টার্টআপ বিজনেস করতে থাকি, যেটার জন্য অনেকটা সময় ইন্টারনেট রিসার্চ এর পেছনে ব্যয় হয়। আর এটার জন্য শুরুতে অনেকের কাছে গেলেও তেমন একটা লাভ হয়নি, তবে ব্যাপারটা এখন যেহেতু জানি তাই বলব এত জটিল কিছু না। Hubspot Academy-তে এটা নিয়ে ফুল কোর্স দেওয়া আছে ফ্রী তে, চাইলে দেখে নিতে পারেন আর বেসিক মার্কেটিং আইডিয়া টা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আর এটার জন্য ও Hubspot Academy প্রেফার করব। 

বর্তমান সময়ে আপনি কি কি কাজ করছেন 

আমি মূলত কাজ করছি ইনস্টাগ্রামের অ্যালগরিদম রিসার্চ আর আপ টু ডেট গ্রোথ হ্যাকিং স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে এবং সাহায্য করছি  অনেক ইনফ্লুয়েন্সার এবং তাদের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নিয়ে । যারা কিনা এখন মাসে ১২,০০০ থেকে ১০০,০০০ ডলার উপার্জন করছে। আর মার্কেটপ্লেসে আমি খুব পুরাতন নই, গত দুই বছর ধরে আপওয়ার্কে আছি যেখানে আমার উপার্জন ৬০,০০০ ডলার পার হয়ে গেছে।

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে আপনার জার্নি কেমন  ছিল

যখন কাজটা শুরু করি তখন আমি ক্যাম্পাসেই এটা নিয়ে লেগে থাকি, বড় ভাইদের মধ্যে অনেকেই হেল্প করেছেন, আবার অনেকে করেনি। শুরুতে ভালোই কষ্ট করতে হয়েছে, বাসা থেকে বাবা বের করে দিয়েছিল । একবার যখন সে শুনল আমি ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে এটার পেছনে বেশি সময় দিচ্ছি । তবে হ্যাঁ, এটার জন্য আমার স্টাডিতে খানিকটা খারাপ সময় গেলেও ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা যে করতে হচ্ছে না, এটা বলতে পারি। হ্যাঁ, এতটা রিস্ক না নিয়ে কাজ না করলেও হয়ত পারতাম কিন্তু নিজেকে দমিয়ে রাখতে পারছিলাম না।

সাজিদ ইসলাম প্রান্ত

কিছু টিপস যা ক্লায়েন্ট কে Happy রাখতে সহায়তা করবে 

ক্লায়েন্ট কে খুশি রাখার জন্য আমাদের কিছু জিনিশ মাথায় রাখতে হবে । 

১। ক্লায়েন্টের সাথে কমিউনিকেশন স্কিল বাড়াতে হবে । যত দ্রুত সম্ভব ক্লায়েন্টের ম্যাসেজের রিপ্লাই দিতে হবে । 

২। ক্লায়েন্টের প্রোজেক্ট ডেডলাইনের আগেই কমপ্লিট করে জমা দিন । এতে যদি কোন ভুল থেকে থাকে তাহলে সেগুলো ঠিক করে দিন । 

৩। ক্লায়েন্টকে তার কাজের চাইতে বেশী কিছু কাজ করে দিন । 

৪। প্রজেক্ট শেষ হবার পরে ও ক্লায়েন্টের সাথে কমিউনিকেশন রাখেন । 

এতে করে ক্লায়েন্টের মনে আপনার জন্য একটা পজিটিভ থিঙ্কিং হবে । তার মাথায় আপনার নাম টা থাকবে , পরবর্তীতে কোন প্রজেক্ট থাকলে আপনাকে তার মনে হবে অথবা তার কোন ফ্রেন্ড কে আপনার কথা বলবে এবং তার প্রজেক্ট ও আপনাকে দিতে পারে ।আমার মনে হয় এই জিনিশ গুলো ফলো করলে ক্লায়েন্ট কে হ্যাপি রাখা সম্ভব । 

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে নতুনদের জন্য  কিছু টিপস      

যারা মাত্র শুরু করেছেন বা করবেন ভাবছেন তাদেরকে বেশিরভাগ সময় অনলাইনে, মার্কেটপ্লেস-গুলোতে  এক্টিভ থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। মার্কেট প্লেসগুলোতে যদি একটিভ থাকে তাহলে তারা ক্লায়েন্টের কাছে পৌঁছাতে পারবে । ক্লায়েন্টের কাছে পৌঁছাতে পারলেই তাদের জব পাওয়া অনেকটা সহজ হয়ে যাবে । 

এবং অবশ্যই কাজ শুরু করার আগে কাজ শিখে আসবেন । আপনি যদি কাজ শিখে না আসেন, তাহলে আপনি টিকে থাকতে পারবেন না । 

কাজের ক্ষেত্রে ডেডলাইন মেইন্টেইন করুন এবং ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করুন । 

আপনার অর্জন: