এই শহরে ভালো ভাবে টিকে থাকতে হলে লেখাপড়ার পাশাপাশি কোন একটা কাজ করতে হবে । এরকম ইন্সপায়ারিং একটা ভাবনা নিয়ে যার পথ চলা , যিনি গ্রাজুয়েশন লাইফের শুরুতেই জীবনের বাস্তবতাকে পুঁজি করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চেয়েছেন ,যিনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে পরিচিত । আমরা তার সাথে তার ফ্রিল্যান্সিং লাইফের জার্নি নিয়ে কথা বলেছিলাম । তিনি হচ্ছেন মুস্তাফিজুর রহমান সাহেব । আমরা তার সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি ২০১১ সালে একটা এক্সেল প্রজেক্টে কাজ করার মাধ্যমে তার জার্নি শুরু হয় । বর্তমানে তিনি SEM নিয়ে কাজ করছেন । তার ফ্রিল্যান্সিং লাইফের কিছু অভিজ্ঞতা আজকে আমরা এখানে তুলে ধরেছি
আমি মুস্তাফিজুর রাহমান । আমি ২০১৩ সালের ১৫ জুন মার্কেট প্লেসে প্রথম কাজ দিয়ে আমার প্রফেশনাল লাইফ শুরু করি । আমার প্রথম প্রজেক্টটা ছিল ইউনাইটেড স্টেটস (US) এর একজন ক্লায়েন্ট এর । এই প্রজেক্টটা অনেক এট্রাক্টিভ প্রজেক্ট ছিল । কিন্তু ২০১১ সালে যখন আমি গ্রাজুয়েশন করছিলাম তখন থেকে কাজ শেখা শুরু করি । আমাদের কুষ্টিয়ার এক বড় ভাই যিনি ঢাকাতে থাকতেন উনার কাছ থেকে আমার প্রথম কাজ শেখা । সেই ভাইয়া এক্সেল প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করতেন, উনি আমাকে কাজ শেখার জন্য বলেছিলেন। ঢাকাতে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়া লেখা করা তার পাশাপাশি কোন কাজ করাটা একটু কঠিন ছিল কিন্তু তারপরও আমি ভেবে দেখলাম যেহেতু আমি একজন কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট (Student) এবং আমার বাসায় কম্পিউটার আছে ,ভার্সিটিতে ক্লাস শেষ করে তারপর বাসায় বসে কাজের একটা সুযোগ আছে তাই আমি আর দেরি না করে ২০১১ সালের মাঝামাঝি থেকে এক্সেলের কাজ করা শুরু করি । তারপর প্রায় ৮/৯ মাস কাজ করার পর ২০১২ সালের প্রথম দিকে ভাবলাম আমি এখন অন্য আরেকজনের ওপর ডিপেন্ডেন্ট আছি । যখন উনার প্রজেক্ট থাকে তখন আমি কাজ করতে পারি, প্রজেক্ট না থাকলে আমার কোন কাজ থাকে না । যেহেতু উনিও রেগুলার কাজ করতেন না । তাই আমি ভেবে দেখলাম অন্য কোন ওয়ে বের করা যায় কিনা । তারপর আমি গুগোল সার্চ করতে লাগলাম এভাবেই আমি আপওয়ার্কের (Upwork) সন্ধান পেলাম । এরপর আমি আপওয়ার্ক অনেক রিসার্চ করে ভালো করে সবকিছু বুঝে একটা একাউন্ট খুলি এবং জব এপ্লাই করতে থাকি । এভাবেই আমার ফ্রিল্যান্সিং জার্নি শুরু হয় ।
আমি একজন ফ্রিল্যান্সার । আমার কাজের ক্যাটাগরি হচ্ছে SEM সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং যেটা পেইড এডভারটাইজমেন্ট এর মধ্যে পরে ।মোস্টলি আমার প্রোজেক্ট গুলো হল PPC এডভারটাইজমেন্টের । আমি যেই প্লাটফর্মে কাজ করি সেটা হোল গুগোল এডস যেটা আগে গুগোল এডওয়ার্ড নামে পরিচিত ছিল, তার পরে বিং এডস, ফেইসবুক এডস । পেইড মার্কেটিং রিলেটেড যেকোনো প্রজেক্টে আমি কাজ করি। সেটা যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া হতে পারে যে কোন সার্চ ইঞ্জিন হতে পারে ।
আমি কুষ্টিয়ার ছেলে ,কুষ্টিয়াতেই আমার বেড়ে ওঠা ।আমার বাবা একজন সরকারি কর্মকর্তা । আমি যখন ঢাকাতে আসি আমার গ্রাজুয়েশন করার জন্য তখন আমি বুঝতে পারলাম যে এই শহরে ভালোভাবে টিকে থাকতে হলে বা বেঁচে থাকলে পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু একটা করতে হবে । যদিও আমার কাছে কিছু অপরচুনিটি ছিল যেমন – পার্টটাইম জব করতে পারতাম অথবা প্রাইভেট টিউশন নিতে পারতাম এজ এ টিউটর হিসেবে । কিন্তু আমি বুঝতে পারছিলাম যে পড়াশোনার পাশাপাশি কোন জব করা আমার কাছে একটু কঠিন হবে। তাই আমি একটু সহজভাবে কিছু করার জন্য ভাবছিলাম । কিছুদিন পরেই আমার এলাকার এক বড় ভাই আমাকে অনলাইনে এক্সেল প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করার করার জন্য অফার করলেন। এই অফারটা আমার কাছে চমকপ্রদ মনে হয়েছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু একটা করতে হবে এই চিন্তাভাবনা থেকেই আমার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে আসা । আর এখন যদি বলেন যে, এখন কেন ফ্রিল্যান্সার এখন তো আর স্টুডেন্ট (Student) না । হ্যাঁ এখন মেইন উত্তরটা পাওয়া যাবে, আমি যদি গ্রাজুয়েশন লাইফটা কে ৪ টা ভাগে ভাগ করি তাহলে একটা ভাগ বাদ দিলে অর্থাৎ একটা বছর বাদ দিলে বাকি ৩টা বছর আমি ফ্রিল্যান্সিং করি । যেহেতু পড়াশোনার শুরুতে আমি ফ্রিল্যান্সিং করা শুরু করেছিলাম এতে করে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার পর আমি দেখলাম যে আমার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে খুব ভালো একটা ফিডব্যাক চলে এসেছে এবং আমার প্রোফাইলটা খুব ভালো গ্রো করেছে । তখন আমি ভেবে দেখলাম যে আমি যদি এখন বাইরে কোন জব করি তাহলে আমি যে সেলারি পাবো ফ্রিল্যান্সিং করে আমি তার চাইতে অনেক বেশী এমাউন্ট উপার্জন (Earn) করছি এবং এখানে আমার অনেক ফ্লেক্সিবিলিটি (Flexibility) আছে । ফ্লেক্সিবিলিটি এবং আর্নিং (earning) ডিফারেন্সে এই ২টা কারণে আসলে ফ্রিল্যান্সিং কন্টিনিউটি করা । এরপর ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারটা আমার কাছে প্যাশন (passion) হয়ে গেছে । আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে ২০১৪ সালে ইউরোপের খুব বড় একটা কোম্পানির সাথে পারমানেন্টলি ফুল টাইম ডিল করি । আমি এটাকে খুবই ভালো একটা অপরচুনিটি হিসেবে দেখেছিলাম । আমি এখনও ওই কোম্পানির সাথে কাজ করছি এজ এ ফুল টাইম ফ্রিল্যান্সার এবং আমি ওদের সকল পেইড এডভারটাইজমেন্ট থেকে শুরু করে আরও অনেক ধরনের কাজ করি। আসলে এটা একটা রিয়েল স্টেট কোম্পানি আমি তাঁদের সকল ধরনের কাজ করে থাকি ।
আমি বলবো জার্নিটা অনেক টাফ ছিল কিন্তু এখন অনেকটা সহজ এবং স্মুথ হয়ে গেছে । আমি যখন জার্নিটা শুরু করেছিলাম তখন অনেক কঠিন ছিল কারণ তখন এত রিসোর্স ছিল না । ইউটিউব অথবা গুগোলে অনেক বেশী রিসোর্স ছিল না যা থেকে আমরা একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পারবো । এখন যেমন অনেক উদ্যোক্তা আছেন বা অনেক সিনিয়র ভাই আছেন যারা তাঁদের নলেজ শেয়ার করেন অথবা কাজ করতে গেলে কোন প্রবলেম ফেইস করলে আমরা তাঁদের কাছ থকে হেল্প নিতে পারি তখন আসলে এরকম সুযোগ অনেক বেশী ছিল না । তো আমরা নিজেরা নিজেদের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে মার্কেটপ্লেসে অনেক সময় দিয়ে কাজ গুলো বুঝতে হত তারপর আমরা কাজগুলো করতে পারতাম । এক কথায় বলতে গেলে জার্নির শুরুটা সবসময়ই অনেক কঠিন হয়, আমার জার্নি ও অনেক কঠিন ছিল সময়ের সাথে চলতে চলতে জার্নিটা এখন অনেকটাই স্মুথ হয়ে গেছে।
আমার কাজের অনুপ্রেরণা বলতে আমি অবশ্যই একজনের নাম বলবো তিনি হচ্ছেন একজন ইন্ডিয়ান তার নাম হচ্ছে দীপক গুপ্তা । উনার সাথে আমরা মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় উনি তখন কাজ করতেন ওডেস্কে রিয়েল স্টেট কোম্পানির সাথে । আমি উনার কাছ থেকে জানতে চাইতাম এই কাজগুলো কিভাবে পাওয়া যায় অথবা কোথায় এই কাজগুলো পাবো তখন তিনি আমাকে ওডেস্কের কথা বলেন । উনি আমাকে সকল ধরনের সহযোগিতা করে থাকেন । আমি যদি কাজ করার সময় কোন প্রবলেম পরতাম অথবা কোন সাজেশনের প্রয়োজন হতো তখন আমি তার হেল্প অলওয়েজ পেতাম । ইন্ডিয়ানদের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমাদের তেমন একটা ভালো না । কিন্তু একটা এ দেশের সব মানুষ তো আর একরকম হয় না সেরকমভাবেই উনি অনেক হেল্পফুল ছিলেন । আমি অনেকবার বাংলাদেশে আসার জন্য তাকে আমন্ত্রণ করেছিলাম কিন্তু নানান ব্যস্ততার কারণে তার আসা হয়ে উঠেনি । তার সাথে এখনও আমার ভালো রিলেশন বজায় আছে ।
তারপর আমি আমার ফ্যামিলির কথা বলবো আমার ফ্যামিলিও আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছে । পড়াশোনা শেষ হবার পর সব ফ্যামিলি জব করবার জন্য একটা প্রেশার দেয়, আমার ফ্যামিলিও আমাকে এরকম প্রেশার দিয়েছিল কিন্তু আমি যখন আমার ফ্যামিলিকে বুঝিয়েছি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার আমার জন্য অনেক ভালো একটা চয়েজ তখন তারা আমাকে সাপোর্ট করেছে ।
সর্বশেষে আমি আমার সহধর্মিণীর কথা বলবো, যার কথা না বলেই নয় । কারণ সে আমাকে সেই প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত অনেক সাপোর্ট দিয়ে আসছে, তার সাপোর্ট যদি না থাকত তাহলে হয়ত আমার ফ্রিল্যান্সিং লাইফ সহজ হতো না। এই মানুষটা অনেক ইম্পরট্যান্ট তাই আমি তাকে এখানে মেইনশন করতে চাই ।
আপওয়ার্ক এবং ফাইভার এই ২ টা মার্কেট প্লেসে ই কাজ করছি । আমি প্রথমে আপওয়ার্কে কাজ শুরু করি, ২০১৫ সালে ফাইভারে একাউন্ট করি তখন আসলে ফাইভারে অতটা কাজ করতাম না। লাস্ট কয়েক বছর ধরে ফাইভার অনেক কম্পিটিটিভ মার্কেট প্লেস হয়ে উঠে। পরে আমি ফাইভারে একটিভ হই এবং কাজ শুরু করি । বর্তমানে আপওয়ার্কে এবং ফাইভারে এই দুই মার্কেট প্লেসেই কাজ করছি ।
এককথায় বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং লাইফে চ্যালেঞ্জিং পার্ট হচ্ছে সময়ের সাথে সাথে নিজেকে আপডেটেড রাখা। অনলাইন মার্কেট প্লেসে প্রতিনিয়ত কাজের ধারা চেইঞ্জ হচ্ছে তাই নিজের স্কিল বা নলেজ কে যদি আপডেটেড না রাখি তাহলে হবে না , দ্বিতীয়ত হচ্ছে টাইম ডিফারেন্সেস। যেহেতু আমি বিদেশী ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করে থাকি তাই আমাদের টাইমটা তাদের থেকে ভিন্ন । সেক্ষেত্রে অনেক প্রবলেম হয়। তবে আমি এখন নিজের টাইমটা কে সেভাবে সেট করে নিয়েছি । তাই নতুনদের জন্য বলবো নিজেকে সবসময় আপডেটেড রাখার জন্য কারণ এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জিং পার্ট, আর টাইম ডিফারেন্সেসটা আসলে তেমন বড় কোন ইস্যু না তারপর ও এটাকে আমি চ্যালেঞ্জিং পার্ট মনে করি ।
আমরা অনেকে মনে করি যে আমরা ফ্রিল্যান্সিং এ নতুন তাই কাজ পাওয়ার জন্য আমরা আমাদের রেটটা যদি একটু কমিয়ে দেই তাহলে হয়ত কাজটা পাওয়া যাবে । এখানেই আমরা ভুল করি আমাদের রেট যখন কম থাকে তখন ক্লায়েন্ট ভেবে নেয় আমাদের কাজ হাই লেভেলের না। সেক্ষেত্রে যারা নতুন তারা প্রথমে ভালো করে অন্যদের কাজের রেট দেখে তারপর নিজেদের কাজের রেট ফিক্সড করতে হবে । আমাদেরকে ফাইভার এবং আপওয়ার্কের অন্য যারা সার্ভিস দিচ্ছে অথবা যারা ডিজাইনিং নিয়ে কাজ করছে তারা কেমন রেটে কাজ করছে তা জেনে কাজের রেট সেট করতে হবে। আপনি যে সার্ভিস সেল করছেন worldwide এর মূল্য কত সেটা আপনাকে জানতে হবে তারপর সে অনুযায়ী আপনাকে আপনার কাজের রেট সেট করতে হবে।
আমার বেশীর ভাগ ক্লায়েন্ট আমেরিকান। আমি লোকাল ক্লায়েন্টদের সাথে তেমন কাজ করিনা এতে অনেক হ্যাসেল হয় । এশিয়ান ক্লায়েন্ট বাদ দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি । তো আমার ক্লায়েন্টদের টাইম আমাদের থেকে ভিন্ন অর্থাৎ তাদের ডে টাইম হয় আমাদের রাতে। প্রথম দিকে আমার এডজাস্ট করতে একটু কষ্ট হয়েছে কিন্তু কাজ করতে করতে আমি নিজেকে ওই টাইম জোনের সাথে সেট করে ফেলেছি । আমার কাজের টাইম আমি রাতে সেট করেছি । প্রয়োজন অনুযায়ী আমি কখনো ব্রেক নেই । আসলে ক্লায়েন্ট দের সাথে কমিউনিকাশন করার জন্য অথবা ইন্টারভিউ ফেইস করার জন্য আমাদের রাতেই কাজ করতে হয় । কিন্তু সবসময় তো আর ক্লায়েন্টের সাথে বসে কাজ করতে হয় না সেক্ষেত্রে আমরা কাজ পাওয়ার পর দিনের বেলা কাজ করতে পারি । নতুনদেরকে বলবো আপনারা প্রথম দিকে একটু প্রবলেম ফেইস করবেন পরে আস্তে আস্তে নিজেকে এডজাস্ট করে ফেলতে পারবেন ।
১ । ক্লায়েন্ট কে হ্যাপি রাখতে হলে প্রথমে আপনার কমিউনিকশন স্কিল বাড়াতে হবে । যত দ্রুত সম্ভব ক্লায়েন্টের ম্যাসেজের রেসপন্স দেয়া । সে ক্ষেত্রে আপনি মোবাইলে অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন যাতে করে আপনি দুনিয়ার যে প্রান্তেই থাকেন না যদি ইন্টারনেট সংযুক্ত থাকে তাহলে ক্লায়েন্টের সাথে কমিউনিকেট করতে পারেন ।
২ । ক্লায়েন্টের কাজ ডেডলাইনের আগে কমপ্লিট করে ডেলিভারি করে দিন। অর্থাৎ কাজ কমপ্লিট করার জন্য যতদিন সময় নিয়েছেন তার ২/১ দিন আগেই কাজটা কমপ্লিট করে জমা দিন । এতে ক্লায়েনটের মনে পজেটিভ থিঙ্কিং হবে, সেক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট নেক্সট প্রজেক্ট এর কাজটা আপনাকে দিতে পারে । প্রয়োজনে আপনি আপনার কাজের কোন ভুল হলে সেটা রিভিশন দিতে পারেন অথবা ক্লায়েন্ট যদি মনে করে কোন জায়গায় চেঞ্জ করতে হবে সেক্ষেত্রে তাও করা যাবে । এতে আপনার ওপর একটা ফেইথ ক্রিয়েট হবে ।
৩ । প্রোভাইড এক্সট্রা সার্ভিস । ক্লায়েন্টের সাথে আপনার একটা কন্ট্রাক্ট হলো যে আপনি x এমাউন্টের কাজ তাকে দিবেন । কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনি তাকে x + ১ এমাউন্টের কাজ জমা দেওয়া উচিত । আপনি তাকে এভাবে বলতে পারেন যে তোমার তোমার কাজের আরও কিছু পয়েন্ট দরকার ছিল তুমি সেগুলো নোটডাউন করোনি আমি এগুলো করে দিয়েছি । তখন ক্লায়েন্ট এর পজেটিভ একটা থিঙ্কিং হবে এবং তার কাছে আপনাকে ইফেক্টিভ পারসন মনে হবে । আপনার কথা তার মাথায় থাকবে এবং নেক্সট প্রজেক্ট এর কাজের জন্য আপনাকেই ডাকবে । শুধু তাই নয় সে তার কলিগদেরও আপনার কাজের কথা বলবে এবং তাঁদের কাজও পেয়ে যেতে পারেন ।
নতুনদের জন্য আমি বলবো, বেশিরভাগ সময় অনলাইনে এক্টিভ থাকা । মার্কেটপ্লেসে গুলোতে একটিভ থাকা । মার্কেটপ্লেস গুলোতে যদি একটিভ থাকে তাহলে তারা ক্লায়েন্টের কাছে পৌঁছাতে পারবে ক্লায়েন্টের কাছে পৌঁছাতে পারলেই তাদের জব পাওয়া অনেকটা সহজ হয়ে যাবে ।
আর বলবো কভার লেটার নিয়ে তারা একটা ভুল করে বসে সেটা হচ্ছে, তারা কভার লেটারটা এভাবে সাজায় যে আমি কাজটা পাড়ফেক্টলি পারবো । অনেক বেশী কনফিডেন্ট শো (Show) করে । এটা আসলে তেমন একটা প্রভাব ফেলে না কিন্তু অনেক সময় হিতে বিপরীত হয়ে যায় । সেক্ষেত্রে আমি বলবো তারা যেন তাদের কভার লেটারে তাদের কাজের কিছু স্যাম্পল দিয়ে দেয় এবং ক্লায়েন্ট কি চাচ্ছে তার কিছু স্যাম্পল দিয়ে দেয় । তারা তাঁদের পোর্টফলিও সুন্দর করে সাজিয়ে সেখানে সংযুক্ত করে দেয় । ক্লায়েট যখন তার কভার লেটার দেখবে তখন যদি সে আপনার কাজের ধারনা পায় সেক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট আপনাকে জব দিতে পারে ।
১ । আমি কখনো স্কিল প্যারালাইসিস এ পড়তে চাই না । আমি নিজেকে আপডেটেড রাখতে চাই । আমার যতটুকু স্কিল আছে আমি প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে নিজের স্কিল আরও বহু গুনে বাড়াতে চাই । স্কিলের সাথে কোন কম্প্রোমাইজ করা যাবে না ।
২ । আমি SEM নিয়ে কাজ করছি , আমি চাই আমি বড় বড় কোম্পানির সাথে কাজ করতে । বড় বড় কোম্পানির সাথে লং টার্ম ডিল করতে ।
৩ । আমার ইচ্ছা আমার সাথে আরও স্কিলড জনশক্তি কাজ করবে । যাদেরকে নিয়ে আমি কাজ করব তারা অনেক স্কিলড হবে যেন আমার পরিবর্তে তারা যেকোনো কাজ হ্যান্ডেল করতে পারে ।