আপনি যদি লাস্ট কয়েক বছরে সোশ্যাল মিডিয়াতে রিজনেবল টাইম স্পেন্ড করে থাকেন, তবে দেখবেন ভিডিও মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। শুধু হোম মেইড বানানো ভিডিও কিন্তু নয় যেগুলো ইউটিউবে ছাড়া হচ্ছে। বরং বিজনেসগুলো এখন ভিডিও এডিটিং কে পাওয়ারফুল মার্কেটিং প্রসপেক্ট হিসেবে কনসিডার করা শুরু করে দিয়েছে। ইনফ্যাক্ট, ভিডিও দিন দিন এতই পপুলার হচ্ছে যে, সামনের দিন গুলোতে ৮০% এর ও বেশী ইন্টারনেট ট্রাফিক, ভিডিও ট্রাফিক থেকে আসবে এরকম ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্স মার্কেটিং পার্সপেক্টিভ এ ভিডিও এডিটিং জব র‍্যাপিড আকারে বাড়ছে এবং অনেকেই এই ফিল্ডে ভাল করছে। এ জবের ডিমান্ড ফিউচারে আর ও বাড়বে বলেই ধরে নেওয়া যায়। তাই নতুন যারা ফ্রিল্যান্সিং এ এন্ট্রি করবে ভেবে নিয়েছে এবং ভিডি ও এডিটিং পেশা হিসেবে নিয়ে কাজ শুরু করবে তাদের প্রপার একটা গাইডলাইন পাওয়া জরুরী। এই পোস্টটি তাদের জন্য কিছু টিপস থাকবে যারা ভিডিও এডিটিং নিয়ে শুরু করতে চাচ্ছেঃ

ভিডিও এডিটিং টুলস

আপনি ভিডিও এডিটর হতে চাইলে প্রথমত এর টুলস গুলো সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকা লাগবে। প্রফেশনলারা যে সব সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনার ও এর ব্যবহার জানা থাকা লাগবে। কিছু কিছু পপুলার সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো অনেকে ব্যবহার করে থাকেনঃ

এছাড়া ও এরকম টুলস গুলো জানা থাকার পাশাপাশি আপনার পিসি বা ল্যাপটপ এর মিনিমাম        স্পেক নিশ্চিত করতে হবে। যেই ডিভাইস দিয়েই কাজ করবেন অবশ্যই তার র‍্যাম, জিপি ও ,সিপিই ও এর এনাফ ক্যাপাসিটি থাকতে হবে যাতে আপনার এডিটিং সফট ওয়্যার দিয়ে আরামে কাজ করছেন সেটা নিশ্চিত করা যায়।

প্রাক্টিস করুন

আপনার ভিডি ও এডিটিং স্কিল দ্রুত ক্যাচ করতে পারার এবিলিটি ডিপেন্ড করে আপনার রেগুলার প্র্যাকটিস মেইন্টেইন করার উপর। আপনি যত প্র্যাকটিস করবেন তত আপনার জ্ঞান বাড়বে এবং সফটওয়্যার গুলোর সাথে আপনি ইউজড টু হয়ে যাবেন। এছাড়া কিছু এডিটিং এক্সপার্ট এর রিসোর্স শেয়ার করি যেগুলো থেকে আপনি দ্রুত শিখে নিতে পারবেনঃ

ল্যারি জর্ডান সাইট (https://larryjordan.com): তার সাইট থেকে আপনি হাজার হাজার ফ্রি ভিডিও কন্টেন্ট পাবেন। আপনি বিভিন্ন সফটওয়্যার এর টিটোরিয়াল এখান থেকে দেখে নিতে পারেন।

ভিডিওকোপাইলট (videocopilot.net): এখানে ও আপনি ফ্রি রিসোর্স পাবেন যেগুলো ভিডিও কমিউনিটির অনেকেই ব্যবহার করে থাকে।

ডেমো রিল তৈরি করুন

শুরু তে আপনি এ লাইনে আসতে চাইলে প্র্যাকটিস এর বিকল্প নেই। ফুল-টাইম ভিডিও এডিটর হিসেবে শুরু করার পূর্বে আপনার এক্সিসটিং এডিটিং কাজের উপর কিছু ডেমো রিল বানানো শুরু করতে পারেন। এর বেস্ট কিছু ফুটেজ আপনি ক্লায়েন্টদেরকে সেলস পিচ হিসেবে দিতে পারবেন। তারপরে দেখুন কেমন রেসপন্স আসে। ভিডিও এডিটিং এ আপনাকে এরকম ক্রিয়েটিভ আইডিয়া বের করতে হবে ক্লায়েন্ট হায়ার এর জন্য। একবার আপনি সেট হয়ে গেলে, নানা প্রকারের ক্লায়েন্ট রিকোয়েস্ট পাবেন। তাই আমি বলবো আপনি যদি জব করে থাকেন, তাহলে সেটি ছেড়ে দেওয়ার আগে নিজেকে একটু যাচাই করে নিতে পারেন। 

ভিডিও নিস (niche) বের করুন

কিছু কিছু ভিডিও এডিটর ওয়েডিং(wedding) ভিডিও এডিটিং করতে প্রেফার করে। কেউ কেউ ন্যাচার বা ট্রাভেল রিলেটেড ব্লগিং ভিডিও বানাতে পছন্দ করে। কেউবা লিগ্যাল ভিডিও বানায়। এটা বলার মেইন মোটিভ হচ্ছে আপনি যেরকম ফিল্ম বা ভিডিও তৈরি করতে পছন্দ করেন, তা দিয়েই প্রথমে শুরু করুন। শুরু তে আপনার নিজের ইন্টারেস্ট খুঁজে পাওয়াতে আপনার ইম্প্রুভমেন্ট অনেকটা নির্ভর করে। 

অনলাইন পোর্টফলি ও তৈরি করুন

আপনার যদি কিছু ড্রাফট কাজ থেকে থাকে এবং এগুলো সবার সামনে প্রেজেন্ট করতে চান, তাহলে অনলাইন পোর্টফলিও এক্ষেত্রে দারুন কাজে দিবে। এটি দেখে অনেকেই আপনার কাজের ব্যাপারে ধারণা পাবে এবং আপনার পটেনশিয়াল ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজে নিয়োগ দিতে আগ্রহী হবে। তাই এর ডিজাইনিং এর উপর এবং আপনার বেস্ট এডিটিং স্যাম্পল গুলো যাতে সুন্দর করে অরগানাইজড থাকে, বানানোর সময় সেটি খেয়াল রাখতে হবে।  

এখন বুঝার সুবিধার্থে, উপরের টিপস যদি আমি সাম আপ করতে চাই তাহলে আমি বলবোঃ

১) আপনি আপনার ভিডি ও এডিটিং স্কিল রেগুলারলি ইম্প্রুভ করুন। তার জন্য করুন প্র্যাকটিস।

২) প্রথম ভিডিও এডিটিং জব খুজুন এবং সেটি কমপ্লিট করুন। 

৩) এরকম টুকটাক এডিটিং জব করে রেপুটেশন বাড়ান এবং পূর্বের ভুল গুলো শোধরানো চেষ্টা করেন।

৪) অনেক প্রজেক্টে কাজ করা হয়ে গেলে অথবা আপনার ভাল কিছু এডিটিং কন্টেন্ট থাকলে রিল মোমেন্ট এ সেগুলোকে এড করতে পারেন। সাথে পোর্টফলিও রেগুলার আপডেট করুন।

৫) এই ফিল্ডের এক্সপার্ট যারা আছে তাদের ফলো করুন এবং তাদের থেকে শেখার চেষ্টা করুন।