ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক ডিজাইনার হয়ে ওঠা কোনও সহজ কাজ নয় তবে আপনার চেষ্টা করতে কোন ক্ষতি নেই। বরং আপনার এই চেষ্টার কারনেই আপনি সাকসেসফুল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার সাফল্যটা দেখতে পারবেন নিজ চোখেই।

ফ্রিল্যান্স ডিজাইনিং ক্যারিয়ারে আপনি অনেক সম্ভাবনা তৈরি করে নিতে পারেন। কেননা আপনি ঐসব প্রোজেক্ট এ কাজ করতে পারবেন, যেগুলো নিয়ে আপনি চিন্তা করতে ভালবাসেন এবং নিজের সুবিধা অনুযায়ী কাজগুলো শিডিউল করতে পারবেন।

অবশ্য চিরকালের জন্য আপনি আপনার ডেস্কজব করে থাকতে পারেন এবং আপনার কাজকে ঘৃণা করে যেতে পারেন। অথবা, আপনি নীচের দেওয়া টিপস গুলো ফলো করতে পারেন এবং কীভাবে ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক ডিজাইনিং শুরু করতে হবে তা জানতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে আসি কি কি স্টেপ ফলো করতে হতে পারেঃ

টুলকিট চেক করা

প্রথম মেজর জিনিস যেটা প্রত্যেক ডিজাইনারের করা উচিত সেটা হচ্ছে আপনি সঠিক টুল/ প্রোগ্রাম ব্যবহার করছেন কিনা আপনার প্রজেক্টের কাজের জন্য তা নিশ্চিন্ত করা। আউট ডেটেড সফটওয়্যার গুলো আপনার কাজের অগ্রগতি কে বাধা দিবে এবং ফুল প্রসেস কে আর ও কমপ্লিকেটেড করে তুলবে। এছাড়া আপনার কাছে আপডেটেড টুল্গুলো থাকার পরে ও এর ব্যবহার আপনি ঠিক মত করতে পারছেন সেটি নিশ্চিন্ত করতে হবে। তাই আপনি হাই-কোয়ালিটি সম্পন্ন ইমেজ প্রডিউস করতে চাইলে বর্তমানে প্রচলিত টুল সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকা লাগবে। যেমনঃ এখন অনেকে ডিসাইনবোল্ড (DesignBold) ব্যবহার করে থাকে।

রিসোর্স খুজা

ফ্রিল্যান্স ডিজাইনিং শুরু করার আগে আপনার এর খুটিনাটি অনেক কিছু জানা লাগবে। তাড়াহুড়ো করে শুরু করে এখানে আপনি ভাল করতে পারবেন না। আপনার ডিজাইনিং এর বেসিক ক্লিয়ার করতে অনলাইনে এখন নানা রকমের টিউটোরিয়াল এবং আর্টিকেল পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলো খুজে নিয়ে নিজেকে টাইম দেওয়া লাগবে স্কিল আর ও শার্প করার জন্য।

কমিউনিটি জয়েন করাঃ বর্তমানে ইন্টারনেটের এ যুগে সবকিছুই সহজল্ভ্য হয়ে গিয়েছে, ফ্রিল্যান্সিং ও এর ব্যতিক্রম নয়। আপনি যে কোন ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম বেছে নিতে পারেন, এর মধ্যে অনেক গুলো আবার সম্পূর্ণ ফ্রি। আপানকে প্রোফাইল বানানোর সময় একটু এফোর্ট দেওয়া লাগবে। কেননা, এরা আপনি যে সার্ভিস প্রোভাইড করতে ইচ্ছুক তা সেল করবে আপনার আপকামিং ক্লায়েন্টদের কাছে। কিন্ত ব্যাপারটা এমন নয় যে আপনাকে একটা প্লাটফর্ম বাছাই করে এর প্রতি ডেডিকেটেড থাকা লাগবে। আপনি বিভিন্ন জায়গায় রিচ করতে পারেন। এতেই আপনার পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টের সম্ভাবনা বাড়বে এবং আপনার সাক্সসেস এর নিশ্চয়তা ও।

পোর্ট ফলিও/ ওয়েবসাইট তৈরি

নতুন ফ্রিল্যান্সাররা কাজ/ স্কিল দেখানোর জন্য তাদের নিজেদের একটা পোর্টফলিও থাকাটা মেন্ডেটরি পর্যায়ে পড়বে। আপনি বিভিন্ন টুলের সাহায্য নিয়ে এই কাজটি আর ও ইজিলি করতে পারবেন। এটি ক্লায়েন্টদের কাছে আপনার ডিজাইন কতটা আইক্যাচিং হতে পারে তার একটা ট্রায়াল করা। সুতরাং, নতুন ফ্রিল্যান্সার যারা জয়েন করবেন, তারা একটি পোর্টফলিও বানিয়ে রাখুন।

ক্লায়েন্ট কে পড়তে পারা

আপনি যত জবে এপ্লাই করতে থাকবেন, তত বিভিন্ন ক্লায়েন্ট এর সাথে পরিচিত হবেন। শুরুতে সব জায়গাতে এপ্লিকেশন ফরওয়ার্ড না করে, তারা কি চাচ্ছে এ সম্পর্কে টাইম নিয়ে ভাবুন। এ থেকে আপনি কিছু বিষয় ক্লিয়ার হবেন। যেমনঃ তারা কি একটি মেইন প্রজেক্ট এর জন্য আপনাকে হায়ার করতে চাচ্ছে না অনগোয়িং কাজে হায়ার করবে! তাদের বিজনেস কি প্রফেশনাল লেভেল এর? কোম্পানি সম্পর্কে এরকম স্টাডি করে নিলে, আপনি আপনার সঠিক পিচ সঠিক জায়গায় ডেলিভার করবেন বলে আশা করা যায়।

নিজেকে ব্রান্ডিং করা

আপনি যখন কিছু ক্লায়েন্ট পাওয়া শুরু করবেন, তখন থেকেই আপনাকে আর ও ইম্প্রুভ করার চিন্তা মাথায় আনতে হবে। এর জন্য আপনি নিজেকে কিভাবে ব্রান্ডিং করবেন সেটি ভাবতে হবে। কারন ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক ডিজাইনারদের এরকম স্টেটমেন্ট রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার প্রথম প্রজেক্ট ওভার-ডেলিভার করুন

আপনার ফ্রিল্যান্সিং জার্নির এই স্টেজটি খুবই গুরত্বপূর্ণ। আপনি যখন কিছু ক্লায়েন্ট পাওয়া শুরু করবেন, তাদের ধরে রাখাটা খুব জরুরী। এটি আপনি তখন ই করতে পারবেন যখন আপনি তাদের প্রথম প্রজেক্ট এ ভাল কাজ ডেলিভার করতে পারবেন। এতে তাদের আপনাকে দ্বিতীয়বার হায়ার করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আপনি সেই ক্লায়েন্টকে আপনার পারসোনাল নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে পেয়েছেন বা ফ্রিল্যান্সিং সাইট এর মাধ্যমে পেয়েছেন তখন তা ম্যাটার করবে না।

আজ আপনাদের জন্য আমার এতটুকুই শেয়ার করার ছিল! তবে কীভাবে ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক ডিজাইনিং শুরু করবেন তা শেখার জন্য এটি আমার মতে বেস্ট এবং প্রুভেন এডভাইস।

আপনার জন্য এটি রাতারাতি ঘটবে না। ফ্রিল্যান্সিং করা কিন্তু রেগুলার জবের চেয়ে সহজ কিছু হবে না। তবে আমি মনে করি আপনি যদি ফ্রিল্যান্স ডিজাইনার হতে চান এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য হেল্পফুল গাইড হিসেবে প্রমানিত হবে।