করোনা ভাইরাস মানুষের জীবন যাত্রার উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। মানুষের কনটেন্ট কনজিউম করা থেকে বায়িং বিহেভিয়ার পর্যন্ত প্রতিটা জায়গাতেই এনেছে পরিবর্তন। মানুষের শেখার জায়গা হতে শখের জায়গা। কাজের জায়গা হতে বিনোদনের জায়গা, পুরোটাই এখন আসলে ডিজিটাল মিডিয়া নির্ভর।
আর এরই ধারাবাহিকতায় মানুষ এখন যে কোন কিছু লাইভ স্ট্রিম করতে পছন্দ করে। প্রতিটা সোশ্যাল প্লাটফর্মের এখন লাইভ স্ট্রিম করার সুবিধা রয়েছে। কোন বড় ইভেন্ট হতে শুরু করে, কন্সার্ট, এমনকি ভিডিও গেম খেলার সময়ও মানুষ লাইভ স্ট্রিম করে থাকে।
এর অনেক গুলো কারণ রয়েছে।
১) এ থেকে আয় করা যায়
২) মানুষ খুব সহজেই নিজের দক্ষতা পৃথিবীর সবার সাথে শেয়ার করতে পারে, যা তাকে তার ক্যারিয়ার ডেভেলপ করতে সহায়তা করে থাকে।
এই করোনা কালীন সময়ে, বিশেষ করে লকডাউন পিরিয়ডে মানুষ অনেক বেশি ডিজিটাল টুল নির্ভর হয়েছে। যারা ডিজিটাল চ্যানেল এভয়েড করতো, তারা সে সময়ে ডিজিটাল টুল গুলোকে কাছে টেনে নিয়েছে। আর এরই ধারাবাহিকতাতে বেড়েছে লাইভ স্ট্রিমের ডিমান্ড। প্রফেশনাল ইভেন্ট হতে শুরু করে কন্সার্ট, নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ফেসবুক লাইভ, ইউটিউব লাইভ বেড়েছে। বিনোদনের ক্ষেত্রেও লাইভ স্ট্রিম ছিল একটি বড় মাধ্যম।
এছাড়াও মানুষ এখন ভিডিও ব্যাসড কনটেন্ট বেশি পছন্দ করে। এটি অনেক বেশি ইন্টারেক্টিভ এবং এঙ্গেইজিং।
ফেসবুক লাইভ স্ট্রীমের জন্য খুবী জনপ্রিয় একটি চ্যানেল। আর এর জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে যখন কিছু থার্ড পার্টি টুল এটিকে আরও এট্রাক্টিভ, এবং ফাংশনাল করেছে। এরকমই একটি টুল হচ্ছে স্ট্রিম ইয়ার্ড। যা লাইভস্ট্রিম কে ব্রান্ডেবল করতে সহায়তা করেছে।
ফেসবুকের লাইভ স্ট্রীমের জনপ্রিয়তার একটি কারন হচ্ছে এটি ফ্রী। এঙ্গেইজড অডিয়েন্স নোটিফিকেশন পায়। এবং রিয়েল টাইম কমিউনিকেশন করার সুযোগ থাকে। এবং লাইভ সেশনের পরেও এটি ভিডিও আকারে ফেসবুকে থেকে যায়।
ইউটিউবের ফিচার গুলার মধ্যে সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে সার্চ। মানুষ ইউটিউবে কনটেন্ট কন্সিউম করে কোন একটি টপিক সার্চের মাধ্যমে। তাই ইউটিউবের এই লাইভ স্ট্রিমিং কনটেন্ট পরবর্তিতে প্রচুর ট্রাফিক জেনারেট করতে পারে যদি এটিকে ঠিক ভাবে অপটিমাইজ করা যায়। আর লাইভ চলা কালীন রিয়েল টাইম চ্যাটিং অপশন তো থাকছেই।
ইন্সটাগ্রাম এর লাইভ স্ট্রিমিং ফিচার এখন অনেক জনপ্রিয়। এখানে ফিড এবং স্টোরি ২ জায়গা থেকেই লাইভে যাওয়ার ফিচার থাকছে।
পরিশেষে বলতেই হয়, লাইভ স্ট্রিমের চাহিদা দিনে দিনে আরও অনেক বাড়বে। এটিকে ঘিরে প্রচুর কমার্শিয়াল সম্ভাবনা তৈরি হবে। নতুন নতুন টুল এবং ফিচার আসবে। প্লাটফর্ম গুলা এই কনটেন্ট গুলোকে কেন্দ্র করে আরও আকর্ষনিও ভাবে উপার্যন করার সুযোগ তৈরি করবে।