বর্তমান যুগে ফ্রিল্যান্স জার্নালিসম একটি কন্টিনিউয়াস যুদ্ধের মত। এখানে আপনাকে ভাল আইডিয়া (idea) নিয়ে আসতে হবে, সেই আইডিয়া গুলোকে সঠিক জায়গায় পিচ করতে হবে। সেই পিচের সফলতার উপর আপনাকে প্রজেক্ট পেতে হবে যেটি একইসাথে ভাল পে করে থাকে এবং ভবিষ্যতে আর ও নতুন প্রজেক্ট/এসাইনমেন্ট এ অপরচুনিটি এনে দিবে।  

অনেক জার্নালিস্ট তাদের ক্যারিয়ারের এক পর্যায়ে ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে ঝুঁকে থাকেন। আবার অনেকে কলেজ থেকে পাস করে নতুন কিছুর আশায় এই লাইনে ইন্টারেস্টেড দেখায়। কিন্তু মেজর কেসে দেখা যায়, প্রায় সকলেই ক্যারিয়ারের ফ্লেক্সিবিলিটির চিন্তা করে থাকে যেটা তাদের ফ্রিল্যান্সিং প্রোভাইড করতে পারবে। 

ফ্রিল্যান্সিং এ যেমন বেশ কিছু ডাউনসাইড রয়েছে যেমনঃ ইন-স্ট্যাবিলিটি, পেমেন্ট ক্লিয়ার হতে মাস দুয়েক অপেক্ষা করা তেমনি ভাবে এর কিছু ভাল দিক ও রয়েছে। সবচেয়ে ভাল দিক হচ্ছে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং অনেক ফ্রিডম এনে দিবে যেখানে আপনার হাতেই সব কন্ট্রোল থাকবে।

এমন অপরচুনিটি তাই এখন সবাইকে লুফে নিতে দেখা যায়। এর উপর ফ্রিল্যান্সিং জার্নালিসম খুব ইউনিক একটি প্রস্পেক্ট। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের ভীড়ে জার্নালিসম করার সুযোগ খুঁজে পাওয়া এবং তা কাজে লাগানোটা খুব কম্পিটেটিভ। তাই আজকে আপনাদের জন্য কিছু টিপস শেয়ার করবো।   

১) নেটওয়ার্ক বিল্ড করুন

অনেকেই তাদের ফ্রিল্যান্সিং এর প্রথম কাজ পারসোনাল কনটাক্ট এর মাধ্যমে পেয়ে থাকে। পরবর্তীতে দেখা যায়, তার ঐ চেনা পরিচত লোক আর ও এক লোকের সাথে পরিচয় করিয়ে আরেকটি কাজ পাইয়ে দিচ্ছে। শুরুর দিকে এভাবে প্রায় অনেকে বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয়ে যায়। অলমোস্ট অনেকের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের শুরুটা কেন যেন মিলে যায়! এর উওর জানেন? নেটওয়ার্কিং!

হ্যাঁ, নেটওয়ার্কিং। এগুলো বলার মোটিভ হচ্ছে আপনার ফ্রিল্যান্সিং এ ভাল করতে হলে নেটওয়ার্কিং করে যেতে হবে। এটি ছাড়া কোন বিকল্প নেই। বর্তমানে ফেসবুক, টুইটারের সহজলভ্যতার কারনে অনেক ইনফরমেশন আপনার কাছে চলে আসছে যা পূর্বে এক্টু ডিফিকাল্ট ছিল। আপনাকে কো-ফ্রিল্যান্সারদের সাথে এড হতে হবে। তারা কি করছে তা জানতে হবে। যেটি আপনার অনেক কনফিউশান ক্লিয়ার করবে। অন্য ফ্রিল্যান্সারদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলুন কেননা তাদের সাথে থেকে ও আপনি কোন এক প্রজেক্টে যুক্ত হতে পারবেন। 

২) পটেনশিয়াল পাবলিকেশন এবং তাদের এডিটর সম্পর্কে রিসার্চ করুন

পিচ করার আগে প্রথমত আপনি কোন নিউজপেপার, ম্যাগাজিন অথবা কোন ওয়েবসাইট কি কি টপিক নিয়ে পাবলিশ হয় এ নিয়ে স্টাডি করে নিতে পারেন। তারা কিভাবে লিখছে বা কি স্টাইল ফলো করছে এ সম্পর্কে ধারনা নিতে পারেন। এগুলো নিয়ে স্টাডি করলে আপনি অটোমেটিকেলি অনেক রিলেটেড প্রশ্নের এন্সার পেয়ে যাবেন। যেমনঃ অনেক পপুলার ম্যাগাজিন গ্রামের লোকদের নিয়ে স্টোরি ফিচার করবে না। আপনি একটু মাথা খাটালেই তারা কি ধরনের পোস্ট পাবলিশড করে থাকে তা বুঝতে পারবেন।  

পার্টিকুলারলি, আপনি সেসব পাবলিকেশনদের লিস্ট করবেন যাদের আর্টিকেল গুলো আপনি পড়তে ভালোবাসেন। অনলাইনে তাদের সাবমিশন গাইডলাইন খুঁজুন। তাদের এভাবে না পেয়ে থাকলে তাদের এডিটরকে মেইল পাঠিয়ে জিজ্ঞাসা করতে পারেন তারা কিভাবে পিচ পেতে প্রেফার করবে।

৩)  বিভিন্ন জার্নালিস্টরা যেসব টপিক/সাবজেক্ট মিস করেছে সেগুলো নিয়ে কাজ করুন

যখন আপনার বিভিন্ন এডিটরদের সাথে রিলেশন বিল্ড হচ্ছে, চেষ্টা করেন যাতে তারা আপনার এক্সপারটিজ এরিয়া সম্পর্কে জানে। এতে করে তাদের কাছে যখন প্রজেক্টের কাজ আসবে যেগুলো আপনার নলেজ/এক্সপারটিজ এর আন্ডারে পড়বে, তখন তারা আপনাকে কল করতে পারবে। এজন্য আপনি আপনার পচ্ছন্দের টপিক/ নিস নিয়ে পিচ করতে পারেন যেই স্টোরিগুলো অন্যান্য পাবলিকেশন থেকে কখনো পাবলিশড হয় নি। 

৪) অনলাইন পোর্টফলিও তৈরি করুন

একটি ভাল ওয়েবসাইট যেটি দেখাচ্ছে আপনি কে এবং আপনি কি কাজ করছেন তা আপনার ফ্রিল্যান্সিং কাজ ল্যান্ড করার জন্য ইন-ভ্যলুয়েবল হতে পারে। ওয়েবসাইটটি আপনার পোর্টফলিও হিসেবে কাজ করতে পারে যেখানে আপনার বেস্ট রাইটিং স্যামপল এবং আপনি যে টপিক গুলো কাভার করেছেন তার ডেমো থাকবে। 

যদি ও ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক কাজ কানেকশন এর মাধ্যমেই এসে থাকে, তারপর ও দেখা যায় অনেক এডিটর নতুন রাইটারদের সাইট ঘুরে দেখে নতুন অপরচুনিটি নেওয়ার জন্য। 

৫) স্কিল ডেভেলপ করুন

 বাকি সবগুলো কাজ প্যারালাল করার সাথে সাথে আপনার রেগুলারলি নিজের স্কিল পোর্ট করা নিয়ে কাজ করা যেতে হবে। যে কাজগুলো আপনাকে প্রতিনিয়ত করে যেতে হবে তা হচ্ছেঃ