মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়, একথাটি আমরা বহুবার শুনেছি, শোনার পর এক ধরনের আত্মবিশ্বাস কাজ করে। কিন্তু তারপরে ও সবার স্বপ্ন পূরন করা হয়ে উঠে না। অথচ আমাদের আশেপাশেই এমন প্রচুর উদাহরণ আছে, যেখানে ছোট একটি শুরু এক সময় অনেক বড় কিছু হয়ে যায়। 

আজকে আপনাদের সাথে এরকম একজনের গল্প শেয়ার করবো যিনি বর্তমানে বাংলাদেশের একজন সফল ফ্রিল্যান্সার । আমাদের দেশের অনেক পরিবারই মেয়েদের বাইরে যেয়ে কাজ করাটা পছন্দ করেনা। সেক্ষেত্রে মেয়েরা যে ঘরে বসেও প্রফেশনাল  কাজ করতে পারেন তার উদাহরণ অজন্তা রেজোয়ানা মির্জা। তিনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সিং কন্টেন্ট রাইটার  । অজন্তা রেজোয়ানা মির্জা ২০১৪ সাল থেকে ফ্রিল্যান্সিং জার্নি শুরু করেছেন । এ ফিল্ডেই দারুন কাজ করে অনেক মহিলা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তিনি নিজেকে উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বলছি অজন্তা রেজোয়ানা মির্জা এর কথা যিনি ২০১৪  সালে ফ্রিল্যান্সিং রাইটিং প্রফেশনাল হিসেবে আপওয়ার্কে কাজ শুরু করেন। চলুন জেনে আসি তার চমৎকার জার্নি সম্পর্কেঃ

কখন এবং কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর শুরু

আমি অজন্তা রেজোয়ানা মির্জা,  প্রথম কাজ শুরু করি ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে । এর আগে আমি  একটা নন -প্রফিট অরগানাইজেশনে কাজ করেছি  যা ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ছেড়ে দেই । এরপর কিছুদিন অপেক্ষা করার পর এক ঘনিষ্ট ফ্রেন্ডের কাছ থেকে ওডেস্ক এর কথা জানতে পারি। কিছুদিন ঘাঁটাঘাঁটি করে মনে হল আমার রাইটিং স্কিল দিয়ে এখানে কাজ পাওয়া সম্ভব। অতঃপর আমি  ওডেস্কে একটা একাউন্ট খুলি । একাউন্ট টি সুন্দর করে সাজাই এবং বিভিন্ন রাইটিং  জবে এপ্লাই করতে থাকি । জব এপ্লাই করার ৭ দিনের মধ্যে আমি ছোট একটা কাজ পেয়ে যাই , যা ৫ ডলারের ছিল। ট্রান্সক্রিপশনের প্রথম কাজটিতে আমার ক্লায়েন্ট ছিল ইউ এস এর। ক্লায়েন্ট একটি অডিও রেকর্ড দিয়েছে সেটা  শুনে ম্যানুয়ালি টাইপ করে তাকে  দিতে হতো । কাজ ভাল লেগেছিল বলে পরবর্তীতে অনেকগুলো কাজ আমার প্রথম ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে পেয়েছি । এর পর থেকে আমি আর থেমে থাকিনি । এরই মাঝে আরও কিছু জবে এপ্লাই করতে থাকি । ২/৩  মাসের  মধ্যে আমি আরও কিছু ক্লায়েন্টের কাজ পেয়ে যাই। এসবের মধ্যে বেশীরভাগ কাজই ট্রান্সক্রিপশনের, তাছাড়া ছোটখাটো কিছু রাইটিং এর কাজও করেছি। এরপর ধীরে ধীরে  ব্লগ রাইটিং শুরু করি, বিভিন্ন আর্টিকেল লেখা, প্রডাক্টের ডেসক্রিপশন , প্রডাক্টের রিভিউ লেখা আবার ওয়েব সাইটের কন্টেন্ট লিখা! সবশেষে থিতু হই ইবুক রাইটিংএ । এখন আমি মূলত ইবুক রাইটিং নিয়ে ই কাজ করি। এছাড়া ক্লায়েন্ট এর প্রয়োজন অনুযায়ী তার প্রডাক্টের ডেসক্রিপশন লিখা সহ অন্যান্য রাইটিং সার্ভিস দিয়ে থাকি। বর্তমানে আমেরিকা ,ইউকে এবং ফিলিপিনের ২/৩ জন ফিক্সড ক্লায়েন্ট আছে যাদের কাজ রেগুলার করি। এ কাজগুলোর মধ্যে ইবুক রাইটিং এর টাস্কই বেশী থাকে। 

আপনি সাধারণত কি ধরনের কাজ করে থাকেন?

“আমি একজন ফ্রিল্যান্স রাইটার ( ফ্রিল্যান্সিং কন্টেন্ট রাইটার)। ক্লায়েন্টের প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের ইবুক’স আর্টিকেল’স, ব্লগ’স, প্রডাক্ট ডেসক্রিপশন, প্রডাক্ট রিভিউ, প্রডাক্ট কম্পেরিজন, ব্যবসার প্রয়োজনে যা কিছু লেখার প্রয়োজন হয় আমাকে দেয় আমি তা লিখে থাকি। বিশেষ করে ফিক্সড ক্লায়েন্টদের প্রয়োজনীয় সব রাইটিং সার্ভিস এখন আমিই প্রভাইড করি।”

ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট  রাইটিং  প্রফেশনাল হিসেবে যেসব স্কিলসেট প্রয়োজন

“একজন ভাল ফ্রিল্যান্সিং রাইটার হতে হলে তার লেখার মান অবশ্যই ভাল হতে হবে এবং সেটা কমপ্লিটলী গ্রামাটিক্যাল এরর ফ্রি এবং স্পেলিং মিস্টেক ফ্রি হতে হবে । তাছাড়া আপনার রিসার্চ ক্ষমতাও খুব ভাল হতে হবে । একটা টপিকে যখন আপনি লিখবেন তখন সেটার জন্য আপনাকে এটলিস্ট ১০ থেকে ২০ টা সোর্স খুঁজে বের  করতে হবে এবং সেটা ভাল করে পড়তে হবে । কখনোই অন্য কারো টা কপি করে অথবা সামান্য পরিবর্তন করে লিখলে হবে না , আপনার লেখা একদম ইউনিক হতে হবে । সোর্সগুলো ভাল করে পড়ে সেটা ভাল করে বুঝে, সেখান থেকে নিজের মতো করে লিখার ক্ষমতা থাকতে হবে। সবচে গুরুত্বপূর্ণ নিজস্ব লিখার স্টাইল তৈরি করা , যদি নিজস্ব স্টাইল না থাকে তাহলে আপনার লেখা আকর্ষণীয়তা হারাবে, যেটা ক্লায়েন্ট বা রিডার কারো কাছেই ভাল লাগবে না । তাছাড়া আপনি কার জন্য লিখছেন, আপনার রিডার কারা , কোন দেশের নাগরিকের  জন্য লিখছেন , কোন বয়সের  গ্রুপের জন্য লিখছেন  , কোন জেন্ডার এর জন্য লিখছেন এই সব কিছু মাথায় রেখে ক্লায়েন্টের প্রয়োজন অনুযায়ী আপনাকে লিখতে হবে । ক্লায়েন্টের ইন্সট্রাকশন বুঝে কোয়ালিটি রাইটিং সার্ভিস দেয়া গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি ফ্রিল্যান্স রাইটার হতে গেলে এই গুন গুলো থাকতে হবে । আসলে প্রথম দিকে আমরা এত ভাল লিখতে না পারলে ও প্র্যাকটিস করতে থাকলে আমাদের লিখা ভাল হতে থাকে এবং  এভাবেই শেখা হয়ে যায়।”

পেশা হিসেবে কেন ফ্রিলেন্সিং কে বেছে নিয়েছেন?

“ফ্রিল্যান্সিং করা বা ফ্রিল্যান্স রাইটার হওয়ার মধ্যে একটা ফ্লেক্সিবিলিটি থাকে  যা কোন জবে পাওয়া যায় না। ফ্লেক্সিবিলিটি বলতে আমরা  আমাদের পছন্দ মতো প্রজেক্ট নিতে পারি বা কখনো ইচ্ছা করলে আমরা কিছুদিন ব্রেক নিতে পারি ,আমরা যখন কোন কাজ শুরু করি সেটা আমরা আমদের সুবিধা মতো সময়ে করতে পারি , আমাদের ৯-৫ টা কাজ করতে হয় না , কোথাও গিয়েও কাজ করতে হয় না ,ঘরে বসে সকাল বিকাল রাতে বা  দিনে যেকোনো সময়ে  আমাদের সুবিধামতো কাজ করতে পারি। কাজের এই ফ্লেক্সিবিলিটি টা অনেকেরই  অনেক পছন্দের । আমার জন্যেও খুব দরকারী এজন্য আমি গতানুগতিক জবের চেয়ে ফ্রিল্যান্সিং জব টা প্রেফার করছি ।”

ফ্যামিলি এবং ফ্রিল্যান্সিং লাইফ কিভাবে মেইনটেইন করেছেন?

“আমাদের দেশের কন্টেক্সট অনুযায়ী অনেক মেয়েই বাসা থকে বের  হয়ে জব করতে পারে না । অনেকেরই ফ্যামিলি রেস্পন্সিবিলিটি থাকতে পারে যার জন্য বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারবে না তাদের জন্য এটা একটা ভাল অপশন হতে পারে , যেহেতু  আমাদের বাইরে যেতে হচ্ছে না বাসায় বসে কাজ করতে পারছি । ব্যালেন্স করাটা একটু কঠিন তবে পসিবল । প্রথম দিকে আমাদের সবাইকে অনেক বেশী কাজ করতে হয় নিজেকে একটা ভালো পর্যায় 

নিয়ে যেতে ,যদি সেটা করে ফেলি তাহলে আমাদের  জন্য ফ্যামিলি , ফ্রিল্যান্সিং লাইফ এবং ক্যারিয়ার মেইনন্টেইন করা অনেকটা ই সহজ হয়ে যায় ।”

ফ্রিল্যান্সিং কি মেয়েদের জন্য গুড চয়েজ ?

“হ্যাঁ, আমি মনে করি ফ্রিল্যান্সিং ইজ এ গুড চয়েজ ফর উইমেন । আমাদের দেশের কনটেক্সট অনুযায়ী অনেক মেয়ে বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারে না অথবা বিভিন্ন কারণে জব ছেড়ে দিতে হয়; সে ক্ষেত্রে মেয়েরা ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারে এবং আর্নিং সোর্স পেতে পারে। শুধু রাইটিংই নয়, এই ফিল্ডে আরও অনেক ধরনের কাজ আছে, যেটা আপনার ভাল লাগে সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারেন এবং একই সাথে ফ্যামিলিও মেইনন্টেইন করতে পারেন ।”

ফ্রিল্যান্সিং এ মেয়েদের প্রিপারেশন

“আমার রাইটিং এরিয়াতে যদি বলি তাহলে যেঁটা আগে বললাম অবশ্যই লেখালেখিতে খুব ভাল হতে হবে এবং তার সাথে আপনার পড়ার অভ্যাস থাকতে হবে । সবকিছুই পড়তে হবে শুধু ফিকশন না , নন-ফিকশন,  নিউজ পেপার, অনলাইনে  পাব্লিশড হওয়া আর্টিকেলও পড়তে হবে এবং আপনাকে লেখার অভ্যাস করতে হবে , বিভিন্ন রাইটিং স্টাইলে  ফলো করে লিখতে হবে , বিভিন্ন টপিকে লিখতে হবে ,এমন সব টপিকে লিখতে হবে হয়ত সেটার কোন আইডিয়া আমাদের নেই ,একটু ভাল করে রিসার্চ করে নিজের ক্রিয়েটিভিটি দিয়ে লিখার অভ্যাস করতে হবে । লেখালেখির জন্য অনেক ধরনের টুলস রয়েছে যেগুলো পেইড, আবার ফ্রি ও আছে যা আপনি ব্যবহার করতে পারেন । শুধু ইংলিশে নয় বাংলাতে ও আপনি লেখালেখি করতে পারেন । ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট ছাড়াও আপনি লোকাল মার্কেটপ্লেসে ও বাংলাতে লেখালেখি করতে পারেন .যদি আপনার লেখার অভ্যাস থাকে তাহলে আপনি যেকোনো ধরনের লেখার কাজ করতে পারেন ।ইংলিশে যদি আপনি ভালো লিখেন তাহলে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে প্রচুর কাজ আছে আর যদি আপনি মোটামুটি ও লিখেন তাহলে ও  আপনি লোকাল  মার্কেটপ্লেসে  মোটামুটি ভাল কাজ করতে পারবেন ।”

“একজন ভালো রাইটার হবার জন্য দরকার প্র্যাকটিস এবং সেই সাথে আপনাকে একটা  ভাল পোর্টফলিও বানাতে হবে । পোর্টফলিও হচ্ছে আমরা যে কাজ গুলো করতে পারি বা যেই টপিকগুলোতে লিখতে পারি তার একটা স্যাম্পল রেডি করা  । একটা ক্লায়েন্টের কাজে এপ্লাই করার  আগে আমাদেরকে বেশকিছু  স্যাম্পল রেডি রাখতে হবে  যাতে ক্লায়েন্টকে আমরা বুঝাতে  পারি যে আমার লেখার ধরনটা কেমন এবং আমি  কি ধরনের টপিক নিয়ে কাজ করেত পারব । ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে আমাদের এডুকেশনাল ব্যকগ্রাউন্ড , আমাদের রেজাল্ট ,আমরা কোন ইন্সটিটিউশন থেকে পড়েছি বা ডিগ্রি এসব কোন কিছুই ম্যাটার করে না কিন্তু আমাদের একটা ভালো রাইটিং স্টাইল বা ভালো রাইটিং স্কিল খুব দরকার সেটাই ক্লায়েন্টকে দেখানোর ভালো একটা উপায় হলো আমাদের ভাল পোর্টফলিও বানানো। আপনি যখন যেখানে যা লিখেছেন বা যা লিখতে পারেন, বা আপনার কোথাও যদি কোন পাব্লিসড লেখা থাকে কিংবা আপনি যদি কোন গল্প বা কবিতা ও লিখে থাকেন, সে সব কিছু সুন্দর করে সাজিয়ে প্রেজেন্ট করতে হবে ক্লায়েন্টকে । এটার জন্য আপনাকে প্রচুর লিখতে হবে ,আর লিখতে লিখতেই আমাদের লেখাগুলো ভালো হবে ইন্টারেস্টিং হবে এবং মিস্টেক ফ্রি হয়ে উঠবে ।”

“রাইটিং স্কিলে ফ্রিলেন্সার হতে হলে আপনাকে অনেক বেশী লিখার অভ্যাস করতে হবে সেই সাথে অনেক বেশি পড়তে হবে এবং আপনার লেখার স্টাইলে সুন্দর করে গুছিয়ে লিখে ক্লায়েন্টকে দিতে হবে।”

নতুন যারা ফ্রিল্যান্সিং পেশায় নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে চায় তাদের জন্য কিছু টিপস

১। নতুনদের জন্য আমি বলবো , আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে আসতে চান  বা মার্কেট প্লেসে এপ্লাই করতে চান তাহলে ডেফিনিটলি আপনি কাজ শিখে আসবেন । আপনি যদি কাজ না শিখে আসেন অথবা অন্য কারো কথা শুনে চলে আসেন তাহলে আপনি ভুল করবেন এবং অন্যদের জন্যও ক্ষতিকর হবে ।  শুধু রাইটিং এর জন্য  নয় , ওয়েব ডিজাইন , গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা অন্য যেকোনো কাজ ই  হোক না কেনো আপনি ভালো করে শিখে তারপর জয়েন করবেন ।

২। যে কাজটা আপনার ভালো লাগে সে কাজটা করাই  আপনার জন্য বেস্ট । আপনি যদি সত্যি সত্যি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে আসতে চান তাহলে অন্য কারোটা দেখে করার চাইতে আপনার যে কাজটা করতে ভালো লাগে অথবা আপনি যে কাজটা ভালো করতে পারেন সে কাজটা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন । আপনি যে কাজ টা ভালোবেসে করবেন তার রেজাল্টটা অবশ্যই ভালো হবে , আবার যে কাজটা বিতৃষ্ণা নিয়ে করবেন সে কাজটার রেজাল্ট দেখলেই বুঝা যাবে আপনার কাজের মান কেমন হবে । অবশ্যই আপনার ভালো লাগার কাজ করাই আপনার জন্যও বেস্ট । 

৩। আপনি যখন অনলাইন মার্কেট প্লেসে এপ্লাই করবেন আপনি মনে রাখবেন আপনার কম্পিটিটর হবে পুরো ওয়ার্ল্ড থেকে । সেক্ষেত্রে আপনার কাজগুলো হতে  হবে ইন্টারন্যাশনাল লেভেলের। আপনার চারপাশের মানুষের থেকে আপনি ভালো লিখেন সেটা ভেবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে চলে আসলে কিন্তু হবে না । আপনার লেখার মান যদি ভালো না হয় তাহলে কিন্তু ক্লায়েন্ট আপনাকে হায়ার করবে না । 

৪।  সবসময় সবকিছুতে ১১০% Honest থাকতে হবে । এই একটা ফিল্ড যেখানে আপনাকে কমপ্লিটলি honest থাকতে হবে । এবং সব কাজে ১১০% ডেডিকেশন দিয়ে করতে হবে । যদিও অনেকের কাছে এটা একটা নরমাল জব মনে হয় না তাই বলে এই নয়  যে আমরা আমাদের ইচ্ছামত করব । একজন ক্লায়েন্ট শুধুমাত্র  একটা প্লাটফর্মের ওপর ভরসা করে আমাদের বিশ্বাস করে আমাদের কে না দেখে না চিনে কাজ দিয়েছে । আমাদের উচিত সততার সাথে ডেডলাইন মেইনন্টেইন করে তার কাজটা কমপ্লিট করে দেয়া ।

আমার মনে হয় এই বিষয় গুলো মাথায় রেখে যদি আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া শুরু করি তাহলে অবশ্যই আমাদের জীবনে সফলতা আসবে । ধন্যবাদ ।