বুয়েটে পড়াশোনা করা শাহাদাত হোসাইন বর্তমানে সফল টপ রেটেড গ্রাফিক ডিজাইনারদের মধ্যে একজন। ডিজাইনিং এর প্রতি ঝোঁক এবং ভার্সিটিতে ডিজাইনিং কাজের সুযোগ পেয়ে যাওয়াটা তাকে পরবর্তীতে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে প্রভাবিত করে। 

কখন এবং কিভাবে শুরু করা

কখন এবং কিভাবে শুরু করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন “আমি বুয়েটে ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ২০০৮ সালে ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক্স এবং ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে শুরু করি। তখন আমি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলাম।” 

তিনি আর ও বলেন,”বুয়েটে আমার গ্রাফিক্স ডিজাইনের একটি কোর্স ছিল এবং সেই কোর্সে এ+ গ্রেড পাই। সেই কোর্স করার সময় থেকেই ডিজাইনিং এর প্রতি ভালোবাসা বাড়তে থাকে। কোর্স শেষে নিজেও বুঝতে পারি যে আমি ডিজাইনিং এ দিন দিন ইম্প্রুভ (Improve) করছি। এরপর আমি ডিজাইনিং প্র্যাকটিস করার সাথে সাথে প্রফেশনাল লেভেল এ কাজ করার অপরচুনিটি খুঁজতে থাকি। সেই অপরচুনিটি আসে ভার্সিটির এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে। সিএসই (CSE) ডিপার্টমেন্ট এর এক বড় ভাইয়ের টিমে একজন ডিসাইনার দরকার ছিল। আমি তখন তাদের টিমে জয়েন করি এবং সেদিন থেকেই আমার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু হয়।” 

তিনি যেসব কাজ করে থাকেন

“আমি ফ্রিল্যান্স ডিসাইনার হিসেবে আমার ক্যারিয়ার শুরু করি এবং ২০১৪ সাল পর্যন্ত সেটি কন্টিনিউ করে থাকি। এরপর আমি নিজের এজেন্সি শুরু করি এবং বর্তমানে আমি সেই এজেন্সি রান করছি। আমার এজেন্সিতে ডিজাইনিং এর কাজ হয় এবং ওয়েবসাইট থিম, টেমপ্লেট, প্লাগিন বিল্ড এবং সেল করা হয়। এগুলো মেইনলি ওয়ার্ডপ্রেস বেসড প্রোডাক্ট এবং আমরা অনলাইনে এসব সেল করে থাকি। এছাড়া ও আমরা মোবাইল এবং ওয়েব বেসড ইউআই/ইউএক্স (UI/UX) ডিসাইন সার্ভিস ক্লায়েন্টদের দিয়ে থাকি।”

ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যে সব স্কিলসেট প্রয়োজন

ফ্রিল্যান্সিং এ ভাল করতে চাইলে কি কি ধরনের স্কিল রাখা লাগবে, এ সম্পর্কিত প্রশ্নে তিনি বেশ কিছু পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। তার ভাষ্যমতে, ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য আপনার পছন্দের ফিল্ড রিলেটেড স্কিল যেগুলো আছে সেগুলোতে মাস্টার হতে হবে। স্কিল রিলেটেড তিনি যেসব পয়েন্ট গুলো বলতে চেয়েছেন সেগুলোর কিছু অংশ বলা হলোঃ

আপনার কাজগুলোতে স্কিলফুল হন

“যে কোন সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য সেটি হতে পারে প্রোগ্রামিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডিসাইনিং অথবা অন্য যে কোন কিছু, আপনাকে সে ফিল্ডের স্ট্যান্ডার্ড গুলো শিখতে এবং বুঝতে হবে। রিলেভেন্ট টুলগুলোতে এক্সপার্ট হতে হবে। লেটেস্ট ট্রেন্ড গুলো ফলো করতে হবে। আপনার স্ট্রং নলেজ এবং এক্সপার্টিজ ছাড়া কাজে বিড করা বা প্রজেক্টে যুক্ত হওয়া ভাল ডিসিশন হবে না। এক্ষেত্রে আপনি হয়তো প্রজেক্ট পারফেক্টলি কমপ্লিট করতে গিয়ে ডিফিকাল্টি ফেস করতে পারেন অথবা ক্লায়েন্ট কে পুরোপুরি স্যাটিসফাই না ও করতে পারেন। তাই আমি বলবো আগে শিখুন, পরে ফ্রিল্যান্সিং এ আসুন।”  

স্কিল মার্কেটিং করুন এবং প্রজেক্ট জিতে নিন

Md. Shahadat Hussain“ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনাকে কমিউনিকেশনে ভাল দক্ষতা রাখতে হবে কেননা, ফ্রিল্যান্সিং এ আপনি ওয়ান ম্যান আর্মি। আপনার স্কিল গুলো মার্কেটিং করার এবিলিটি থাকতে হবে, প্রজেক্ট ওনারদের (Owner) কাছে প্রজেক্ট এর জন্য রিচ-আউট করতে হবে। আপনার স্কিল, এক্সপেরিয়েন্স এবং ঐ প্রজেক্টটিতে কি ভ্যালু এড করবেন সে সব সম্পর্কে প্রজেক্ট ওনার (Owner) কে কনভিন্স করার টেকনিক জানতে হবে।”

কমিউনিকেশন এবং ম্যানেজমেন্ট স্কিল

“প্রজেক্ট হাতে পাওয়ার পর এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভাল ভাবে ম্যানেজ করতে হবে। তাকে ক্লায়েন্ট এর সাথে প্রজেক্ট এর সময়কাল পর্যন্ত কমিউনিকেট করে যেতে হবে, রেগুলারলি আপডেট দিতে হবে, কোন কিছু জানার থাকলে সেগুলো জেনে ক্ল্যারিটি মেইন্টেইন করতে হবে। অনেক ফ্রিল্যান্সার তার কাজের জন্য দরকারী টুল গুলো ব্যবহার করলে ও প্রজেক্ট ম্যনেজ করার জন্য কোন টুল ব্যবহার করার প্রয়োজন দেখে না। প্রফেশনলাটি মেইন্টেইন করতে হলে এবং ক্লায়েন্ট থেকে আপনাকে প্রফেশনাল হিসেবে রেকগনিশন পেতে হলে অবশ্যই প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টুল ব্যবহার করতে হবে।”

পেমেন্ট রিলেটেড কন্ট্রাক্ট সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হন

“আপনি ফিউচারে প্রপার পেমেন্ট পাবেন, সেটি আগে থেকে ক্লিয়ার করে নিতে হবে। আপনি যদি কোন মার্কেট প্লেসে কাজ না করে থাকেন তবে প্রজেক্ট শুরু করার আগে এডভান্স পেমেন্ট নিয়ে নিতে ভুলবেন না। এগ্রিমেন্ট পেপারে আপনি এবং আপনার ক্লায়েন্ট সাইন করে নিবেন যেখানে ওয়ার্ক টার্ম, পেমেন্ট টার্ম সবগুলো ক্লিয়ারলি মেনশন করা থাকবে।”

ক্লায়েন্টকে স্যাটিসফাই করুন

“একজন ফ্রিল্যান্সারের কাজের হাইয়েস্ট স্ট্যান্ডার্ড, প্রজেক্ট ডেডলাইন এসব মেইন্টেইন করা উচিত। আপনি তাকে ইম্প্রেসড করুন যাতে করে আপনি তার থেকে ভাল রিভিউ, রেকমেন্ডেশন পেতে পারেন। উনি যাতে কাজে সন্তুষ্ট হয়ে আবার আপনার কাছে ফেরত আসে এভাবে প্রজেক্ট কমপ্লিট করতে হবে।”  

ফ্রিল্যান্সিং কেন

“ফ্রিল্যান্সিং কেন এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলবো এর প্রধান বেনিফিট হচ্ছে এর ফ্লেক্সিবিলিটি। একজন স্টুডেন্ট (Student) ফুল টাইম জব এটেন্ড করতে পারবে না। কিন্তু সে ফ্রিল্যান্সিং পড়াশোনার পাশাপাশি চালিয়ে নিতে পারবে। একজন ফুল টাইম জব হোল্ডার আরেকটি জবে জয়েন করতে পারবে না, কিন্তু তিনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। আবার, অনেক মানুষ আছেন যারা রুটিন ওরিয়েন্টেড কাজ করতে পছন্দ করেন না, তারা ও ফ্রিল্যান্সিং করতে প্রেফার করেন।”

“বাংলাদেশের মত দেশে ফ্রিল্যান্সিং আর ও পপুলার কেননা, এখানে ফুল টাইম জবের থেকে বেশী উপার্জন করা সম্ভব; যদি সে স্কিলগুলো ভাল ভাবে রপ্ত করতে পারে। আমি অনেককেই বহু বছর ধরে দেখেছি ভাল উপার্জন করতে এবং এর মধ্যে অনেকে নিজের বিজনেস সাকসেসফুললি রান করছে।”

“লাস্টলি আমি বলবো অনেকে নিজের বিজনেস শুরু করার স্বপ্ন পুরন করার আশায় ফ্রিল্যান্সিং বেছে নেয়। এন্টারপ্রেনার হওয়া, নিজে থেকে কিছু করা এসব স্বপ্ন ফুলফিল করা মানি বা প্রাইডের থেকে অনেক উঁচুতে থাকে। এতে এক প্রকার স্যাটিসফেকশন কাজ করে। আমি ও এরকম স্বপ্ন দেখেছিলাম এবং এর বেশ কিছু অংশ প্ল্যানিং অনুযায়ী করা সম্ভব হয়েছে। আমি  ফ্রিল্যান্সার থেকে বিজনেস অওনার হয়েছি  এবং আশা করি অন্য সবাই এই সেইম ড্রিম এবং গোল নিয়ে তাদের ক্যারিয়ার শুরু করবে।”

ফ্রিল্যান্সিং এ পথচলা

ফ্রিল্যান্সিং এ শাহাদাত হোসাইন এর জার্নি কেমন ছিল, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “জার্নি অনেক কঠিন ছিল। মাঝে মাঝে এটি আর ও অনেক কঠিন হয়ে যায়। শুরুতে আমার বেশ কিছু প্রজেক্ট ক্যান্সেল হয়ে যায়। সে সময় প্রজেক্ট গুলো নেওয়া আমার উচিত হয় নি কেননা, আমি তখন ও স্কিলফুল হই নি। তাই সবাইকে এই মিসটেক রিপিট করতে না করবো। এরপর আমি স্কিল ইম্প্রুভ করার ট্রাই করেছি এবং সেই প্রজেক্ট গুলো বেছে নিয়েছি যেটি আমার কমপ্লিট করার ক্যাপাবিলিটি থাকবে।”

“কিন্তু সেখানে যেয়ে আমার অন্যান্য প্রবলেম ফেস করতে হয়। প্রজেক্ট কন্টিনিউয়াস আসছিলো না, ফ্লাকচুয়েট হচ্ছিল। কখনো অনেক বেশী এমাউন্টে আসছে তো কখনো প্রজেক্ট  একদম আসছিলো  না। আবার ডেডলাইন নিয়ে ও আমার ইস্যু ফেস করতে হয়। কিছু কিছু প্রজেক্ট আমি ডেডলাইন পার করে কমপ্লিট করেছি। তাই সেগুলোর পেমেন্ট নিয়ে ও প্রবলেম ফেস করতে হয়েছে।”

 “এরপর আমার হাতে অনেক প্রজেক্ট থাকায় আমি ২০১২ সালে আমার এজেন্সি শুরু করার ডিসিশন নেই। যেহেতু আমার ভাল প্ল্যান ছিল না, আমার ডিসিশনটি তখন ফলপ্রসূ হয় নি। আমার সেই সময় পর্যন্ত কোন পারমানেন্ট ক্লায়েন্ট ছিল না এবং প্রজেক্ট ও ফ্লাকচুয়েট করে আসছিলো যেগুলো আমি, আমার টিম মিলে কমপ্লিট করে ফেলি। আর ও ভাল প্ল্যান নিয়ে ভবিষ্যতে শক্তিশালী হয়ে ফিরবো নিজেকে এমন প্রমিস করে ২০১৩ সালে আমার স্টার্টআপ বন্ধ করার ডিসিশন নেই ।  ফাইনালি, ২০১৪ সালে আমি ড্রোইটল্যাব (Droitlab) নামে আমার এজেন্সি শুরু করি যেটি এখন পর্যন্ত আমি সাকসেসফুললি রান করছি।”

ফ্রিল্যান্সিং এ তার অনুপ্রেরণা

“ফ্রিল্যান্সিং এ আমার অনুপ্রেরণা হচ্ছে বুয়েটের বড় ভাই, জাহিদুল ইসলাম যার সাথে আমি আমার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করি। যদি ও তিনি প্রোগ্রামার ছিলেন এবং আমি ডিসাইনার ছিলাম তারপর ও আমি তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।”

এন্টারপ্রেনার হিসেবে আমার আইডল হচ্ছে কাউসার আহমেদ, থিমাম (Themeum) এর ফাউন্ডার, সিইও এবং WeDevs এর দুজন কো-ফাউন্ডার তারেক হাসান এবং নিজাম উদ্দিন।”

যে মার্কেট প্লেসে তিনি কাজ করেন

তিনি বলেন, “বর্তমানে আমি এনভাতো (Envato) তে প্রোডাক্ট সেলার হিসেবে এবং আপওয়ার্কে সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে আছি।” তিনি দুটোতেই হাই প্রোফাইল মেইন্টেইন করেছেন। এনভাতো তে তিনি লেভেল-৯ সেলার এবং $ ৪০০,০০০ এমাউন্টের প্রোডাক্ট সেল করেছেন। আপওয়ার্কে ও তিনি $২০০,০০০ ডলার আয় করেছেন এবং বর্তমানে তিনি নিজের প্রোডাক্টের কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন। 

ক্লায়েন্টকে খুশি রাখার তিনটি টিপস

তিনি যেহেতু বহুদিন ধরে কাজ করেছেন, তাই ক্লায়েন্টকে খুশি রাখার টিপস তার থেকে জানতে চাওয়া হয়। এর উত্তরে বলেন, ”প্রথমত আপনি নিজেকে ক্লায়েন্টের দৃষ্টিকোন থেকে দেখবেন। আপনি ক্লায়েন্ট হলে আপনি আপনার সার্ভিস প্রোভাইডার থেকে কি কি এক্সপেক্ট করছেন তা চিন্তা করুন। এভাবে চিন্তা করলে আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন এবং কি করা লাগবে তা নিজে থেকে ফিগার আউট করে নিতে পারবেন।”

 “দ্বিতীয়ত, আপনি প্রজেক্ট সেগুলো নিবেন যে গুলো আপনার কারেন্ট স্কিল এর রেঞ্জে থাকবে। সেই প্রজেক্ট ভাল ভাবে করার চেষ্টা করবেন এবং সময় নিয়ে, যত্নসহকারে কমপ্লিট করার চেষ্টা করবেন। এতে আপনার ক্লায়েন্ট খুশি হবে এবং সে আপনাকে বোনাস/টিপ দিতে পারে। আপনার কাজ ভাল হয়ে থাকলে সে আবার আপনার কাছে নতুন প্রজেক্ট নিয়ে রিটার্ন করবে। তাই নিজের কাজের প্রতি সৎ হন, ভালভাবে কাজটি সম্পূর্ণ করুন এবং কখনো লো-কোয়ালিটি ওয়ার্ক ডেলিভার দিবেন না।”

“আপনি ক্লায়েন্টকে খুশি করার জন্য ওভার ওয়ার্ক করবেন না। এতে করে অসৎ ক্লায়েন্টরা আপনার সুযোগ নিবে। তাই সবসময় ক্লায়েন্টের সাথে এগ্রিমেন্ট করে নিবেন। প্রজেক্ট স্কোপ, ডেডলাইন, পেমেন্ট সম্পর্কিত বিষয় গুলো তার সাথে বসে ঠিক করে নিবেন। আপনি যখন চুক্তি অনুযায়ী ডেলিভার করতে পারবেন, এতে ক্লায়েন্ট প্রথমত বুঝবে আপনি প্রফেশনাল এবং প্রজেক্ট ভালভাবে কমপ্লিট হলে খুশি ও হবে। এটি দুই পক্ষের জন্য উইন-উইন সিচুয়েশন হবে।”

নতুনদের জন্য টিপস

 “নতুনদের জন্য মোস্ট ইম্পরট্যান্ট টিপস হচ্ছে নিজের ফিল্ড রিলেটেড স্কিল গ্রো করা। এর জন্য ব্লগ পড়া, ভিডিও দেখা, টিউটোরিয়াল ফলো করা, এক্সপার্টদের থেকে শিখা এসব কিছু করতে হবে। প্রপার স্কিল ছাড়া প্রজেক্টে বিড করা বা যুক্ত হওয়া ঠিক হবে না, এর ফলে ক্যারিয়ার নষ্ট হবে এবং আপনি দ্রুত ফ্রাস্ট্রেড হয়ে পড়বেন। এছাড়া আপনি যখন মার্কেট প্লেসে কাজ করবেন, যতটুকু পারা যায় প্রফেশনালিসম আনার ট্রাই করবেন। আপনি যদি আপনার ক্লায়েন্টের সাথে আনপ্রফেশনাল ব্যবহার করা শুরু করেন, তবে এতে আমাদের দেশের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এরকম ইন্টারন্যাশনাল একটি প্ল্যাটফর্মে কখনো এমন কাজ করবেন না।”